পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে এখনো সক্রিয় জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিপূর্ব সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না। আজকের এই মিছিল কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে না, এই মিছিল হলো বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল। নিজের অধিকার রক্ষার মিছিল। নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল।
তারেক রহমানের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর শুরু হয় র্যালি। নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল মোড়, মৎস্যভবন, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট হয়ে এটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মিছিলের আগে নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্র, মহানগর ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
র্যালিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা আসেন র্যালিতে অংশ নিতে। জুমার পর পল্টন ও আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল।