স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মেজর জিয়ার খেতাব বাতিল কল্পনাতীত: মিলন

এহসানুল হক মিলন

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তকে কল্পনাতীত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। সেখানে মেজর জিয়াউর রহমান আসামি ছিলেন না। ওই মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণেও জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা ছিল না। স্বাধীনতার এত বছর পর এসে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত আমাদের ভাবনাতীত।

বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো’তে এসে বিএনপি নেতা এহসানুল হক মিলন এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, আল জাজিরার পর সেখান থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে সরকারকে একটি এপিসোড মঞ্চায়ন করতে হবে। এজন্যই মূলত জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের মতো ধৃষ্টতাপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এহসানুল হক মিলন বলেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের এই সিদ্ধান্তে শুধু বিএনপি নয়, বরং আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এমন সিদ্ধান্তের কথা জেনে শিউরে উঠবেন যে, এসব কী হচ্ছে?

বিএনপি নেতা বলেন, পঁচাত্তরের পটপরিবর্তন হওয়ার পরের সব বিষয়গুলো মীমাংসিত। সেসব বিষয় নিয়ে বই লেখা হয়েছে, ইতিহাস রচিত হয়েছে। সেখানে কোথাও জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততার কথা আসেনি। এরপর তিনিও শহীদ হয়েছেন। এখন মৃত একজন মানুষকে নিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত খুবই কল্পনাতীত।

জিয়াউর রহমানের খেতাবই নয়, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।