এম এ আশরাফ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেড ও স্পিড বোট সংঘর্ষের আট দিন পর নিখোঁজ আরও এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সবশেষ একজনের লাশ নিয়ে এ ঘটনায় স্পিড বোটের চালকসহ ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করল নৌ-পুলিশ। শুক্রবার বিকেলের দিকে দপদপিয়া সেতু সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ভাসমান অবস্থায় ওই যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার। নিহত সজল দাস (৩০) বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে।
ওসি সনাতন চন্দ্র জানান, লাশ উদ্ধারের পর সজল দাসের পরিবারকে খবর দেওয়ার পরে স্বজনরা এসে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন। তবে নিহত পরিবারের লোকজনের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এরআগে গত রোববার দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহ তিনটির মধ্যে একটি স্পিডবোট চালক আল আমিন (২৩) আর অপরদুটি যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৯) ও মো. রাসেল আমিন (২৪) এর বলে স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। এর মধ্যে চালক আল আমিন ভোলা সদরের ভেদুরিয়ার উত্তর চর এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে এবং যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন ভোলা সদরের ধনিয়া এলাকার মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে। তিনি দৌলতখান উপজেলার ভূমি অফিসের নাইটগার্ড।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোলার থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে আসলে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পর নদী থেকে উদ্ধার করা জালিস মাহমুদ (৫০) নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও মানসুর আহমেদ নামে ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবল আহত হন। প্রাথমিকভাবে ওই দুর্ঘটনার পর চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। আর সর্বশেষ সজল দাসের মরদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে এ দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।