নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টের ঘটনার পরদিন সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগে ওসি রফিকুল ইসলামকে জেলা পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
গত ৩ এপ্রিল বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের অবস্থানের খবর পেয়ে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনও সেখানে উপস্থিত হয়।
মামুনুল হকের দাবি, তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে অবকাশ যাপনে গিয়েছিলেন। এ ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করেন কয়েকজন ব্যক্তি। ওই লাইভ দেখে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর স্থানীয় লোকজন ও মাদ্রাসার শত শত ছাত্র ওই রিসোর্ট গিয়ে মামুনুল হককে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ সময় ওই রিসোর্ট, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় কার্যালয়েও হামলা হয়। হামলা হয় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িঘরেও। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর করেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। তাণ্ডবের সময় পুলিশ নির্লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরের দিন সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয় জেলা পুলিশ লাইন্সে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রফিকুলের চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তিনি বিধি মোতাবেক অবসরজনিত সব সুবিধা পাবেন।