সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কমিটির সভাপতি ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা বিমানবন্দরে পৌঁছান। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর বিকেল ৩টার দিকে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।
বিমানবন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তাদের এ পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, এনএসআই পরিচালক, ডিআইজি (ইমিগ্রেশন), অতিরিক্ত ডিআইজি (ইমিগ্রেশন), বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক (এভসেক), ডিজিএফআই, এনএসআই ও স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতির থাইল্যান্ড গমন উপলক্ষে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পূর্বেই সেখানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। তদন্ত দল তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং সেই সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, আব্দুল হামিদ ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করে লাউঞ্জে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। লাউঞ্জে তখন যেসব কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিমানবন্দরের কনফারেন্স রুম-১-এ একটি রুদ্ধদার বৈঠক করেন। বৈঠকে ইমিগ্রেশন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে দিবাগত রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে থাইল্যান্ডে যান। তার এই বিদেশযাত্রা ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনার পর ইমিগ্রেশনের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ চারজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
