অবশেষে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
ফলাফলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
তবে এবারের নির্বাচনটা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন নায়ক ফেরদৌস। তিনি কার্যকরী সদস্য পদে সর্বোচ্চ ২৪০ ভোট পেয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতা ও ব্যবসায়িক চাপের কারণে নির্বাচনের শুরু থেকে মাঠে ছিলেন না ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ খ্যাত এ নায়ক। তিনি ২৫ তারিখ থেকে সক্রিয় হয়েও সর্বাধিক ভোট পাওয়ার নজির গড়লেন।
ফেরদৌসের পরই দফতর সম্পাদক পদে আরমান পেয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩২ ভোট। অন্যান্য পদের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে মিশা-জায়েদ প্যানেলের মনোয়ার হোসেন ডিপজল ২১৯ ও রুবেল ১৯১ পেয়েছেন ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সাইমন সাদিক ২১২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে ১৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আজাদ খান। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের মামনুন ইমন ২০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মিশা-জায়েদ প্যানেলের জয় চৌধুরী ২০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১৮৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন শাহানূর।
কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে অঞ্জনা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, সুচরিতা, আলীরাজ, মৌসুমী, চুন্নু আর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ফেরদৌস, কেয়া, জেসমিন ও অমিত হাসান। এবারের নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪২৮। ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন ভোটার। বাতিল হয়েছে ১০টি ভোট।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা ১২ মিনিটে শুরু হয়েছিল ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিট পর্যন্ত।
এ নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন পীরজাদা হারুন। অন্য দুই সদস্য হলেন- বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় সোহানুর রহমান সোহানকে। সদস্য ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।