বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ডাকা সমাবেশে অংশ নিতে নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৯ জুন) বেলা দুইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার অনেক আগে থেকেই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সকালের দিকে ঝুম বৃষ্টি হলেও তারমধ্যেই সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থায় আছে পুলিশ।
দলের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশনা দেওয়ায় সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা তাদের ব্যানার-ফেস্টুনে জিয়া পরিবারের সদস্যদের বাইরে অন্য কারও ছবি যোগ করেননি।
ঢাকায় কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ব্যানারে এই সমাবেশ হচ্ছে। এতে আগতদের ব্যানার ও ফেস্টুনে শুধু বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটি ও কেন্দ্রীয় নেতারা এতে বক্তব্য দেবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন মির্জা আব্বাস।
গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে অক্টোবরে বড় কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এরপর নির্বাচন বর্জন করা দলটি সেইভাবে কোনো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামেনি। যে কারণে এবারের সমাবেশকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
একইদিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ ডেকেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক থাকবেন বিএনপি নেতাকর্মীরাও।
গত বুধবার (২৬ জুন) দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায় নিতে ঢাকায় সমাবেশসহ প্রথম দফায় তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে সিসিইউতে রাখা হয়। এরপর গত রোববার খালেদা জিয়ার শরীরে পেসমেকার বসানো নয়। এরপরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বলেছেন, ঢাকায় শনিবার বিকেলে, ১ জুলাই সোমবার সমাবেশ হবে সারাদেশে মহানগরগুলোয় এবং ৩ জুলাই সারাদেশের জেলা সদরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি।