শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে যা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর

গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় অঞ্চলে শীতের তীব্রতা অন্য জায়গার চেয়ে কিছুটা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

এমন অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শীত বা ঠান্ডা কিছুটা বেশি অনুভূত হলেও আপাতত আগামী ১০ দিন শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়নি। কিন্তু এই কয়দিন দেশের অন্যান্য অঞ্চলের স্বাভাবিক ঠান্ডা অনুভূত হলেও উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা নামতে পারে। ফলে এসব অঞ্চলে শীতও বেশি অনুভূত হতে পারে।

আজ (বুধবার) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা ঢাকা পোস্টকে এসব জানিয়েছেন।

• আজকের আবহাওয়া লাইভ (Ajker Weather Live) আপডেটসহ আগামীকালের আবহাওয়া কেমন থাকবে?

তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে এবং জানুয়ারিতে ঠান্ডা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হবে। তবে আগামী ১০ দিন শীতের প্রকোপ বেশি থাকার আভাস পাওয়া গেলেও শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা দেখা যায়নি। আবহাওয়া প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ আসতেও পারে তবে সেটি উত্তরবঙ্গেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

চলতি সপ্তাহে ঠান্ডার প্রকোপ আরও বাড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ না হলেও তাপমাত্রা এর কাছাকাছি থাকবে। শৈত্যপ্রবাহ না হলেও শৈত্যপ্রবাহের মতো তাপমাত্রা অনুভূত হতে পারে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের খুব কাছাকাছি দেখা গেছে।

তিনি আরও বলেন, শৈত্যপ্রবাহ বলতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া এবং একটানা কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করা বুঝায়। যদি তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায় তখন তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিবেচনা করা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অপরদিকে, চলতি ডিসেম্বর মাসেই দুটি লঘুচাপ, একটি ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয়ার্ধে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে বৃষ্টি, লঘুচাপ, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় এবং মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহসহ বিভিন্ন রূপ দেখাবে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি। একই সাথে শীতের প্রকোপ বাড়াতে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।