বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। এ মামলার রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানানো হয়েছে।
মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবু।
বুধবার দুপুরে রিফাত হত্যার রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মিন্নি। তারই পরিকল্পনায় রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, রিফাত হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তাই প্রত্যাশিত রায় পেয়েছি। রায়ে প্রমাণ হলো অপরাধী যেই হোক ছাড় নেই। এ মামলার রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সঞ্জীব দাস ও আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।