রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ ৪ বছর হওয়া উচিত : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বের মেয়াদ সংবিধানে যে পাঁচ বছর আছে, তা চার বছর হওয়া উচিত।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয় গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে মেয়াদ যদি চার বছর হতে পারে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ চার বছর হতে অসুবিধা কোথায়?’ অবশ্য এটি তার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ইউনিয়ন পরিষদ প্রসঙ্গে হাসান আরিফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ একসময় তিন বছর ছিল। এই মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু দুই বছর মেয়াদ বৃদ্ধিতে লাভ কী হয়েছে, তার কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কখনো কোনো মূল্যায়নও করা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ নিয়েও তার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের মেয়াদ তিন বছর হওয়া উচিত। কারণ, তিন বছর মেয়াদ হলে ১৫ বছরে ৫ বার নির্বাচিত প্রতিনিধি এখানে আসবেন। ফলে অধিক সংখ্যক জনপ্রতিনিধি এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের অপসারণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সময় সাপেক্ষে অবস্থা অনুযায়ী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় সব ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে শিগগিরই সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় পূর্ণ মেয়াদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।

চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে ১০টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে৷ দেশে রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট (আরঅ্যান্ডডি) নিয়ে খুব একটা কাজ হয় না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে জোর দিতেই বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে দল গঠন করা হয়েছে।

বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব।