হেলাল উদ্দিন: মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত বেড়ে চলছে। ওপার থেকে একের পর এক মর্টার শেল ও ভারী গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ কাল থেকে ভেসে আসছে টেকনাফ সীমান্তে। এর ফলে এপার বাংলাদেশে জনমনে আতংক বাড়ছে।
কয়েকদিন বিকট শব্দ শোনা না গেলও বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে টেকনাফের হ্নীলা- হোয়াইক্যং, পৌরসভা, সাবরাং – শাহ পরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনের সীমান্তজুড়ে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা।
খারাং খালী সীমান্ত বাসিন্দা সাদেক জানান সেহেরির পর থেকে বাড়িতে আর ঘুমাতে পারিনি। মিয়ানমারের ভেতর থেকে একের পর এক যেভাবে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, মনে হচ্ছে আমার বাড়িতে মর্টারশেল পড়ছে। ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত থেমে থেমে বিকট শব্দে কাঁপছে এপারে বাড়ি-ঘর।
হ্নীলার বাসিন্দা লবণ মাঠ চাষি নুরুল আলম বলেন, সেহেরি খেয়ে নামাজ পড়ে আর মাঠে যেতে পারি নাই, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে যে হারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, আতঙ্কে আর লবণ মাঠে যাইনি।
হ্নীলা ওয়াব্রাং সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসাইন বলেন, বুধবার বিকাল ৩ টা থেকে মায়ানমার ওপারে বিকট মর্টারশেলের শব্দ শুনতে পাই। আজ সকাল থেকে মর্টারশেলের এরকম বিকট শব্দ কখনো শুনি নাই। আমরা সীমান্ত এলাকার বসবাসকারী অনেক আতঙ্কে আছি
জানা গেছে, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্য দখল করতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে গত আড়াই মাস ধরে সীমান্তের এপারে একের পর এক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এর আগে আরাকান আর্মিসহ আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজিপির ক্যাম্প ও সীমান্ত চৌকিসহ অধিকাংশ অঞ্চল দখল করেছিল। সম্প্রতি নতুন করে আবারও রাখাইনের আকিয়াব জেলার মংডু ও বলি বাজার শহরসহ সেনা ক্যাম্প দখল করতে হামলা অব্যাহত রেখেছেন বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, কয়েকদিন মায়ানমার ওপারে মর্টারশেল ও গুলির শব্দ শোনা না গেলেও। বুধবার বৃহস্পতিবার মায়ানমার ওপারে থেমে থেমে মর্টানশেলের শব্দ শোনা গেছে, এখনো থেমে থেমে চলছে সীমান্তে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।