রিয়াজ উদ্দিন: ভোলার লালমোহন থানার আলোচিত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি মোঃ সাগরকে মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
জানা যায়, ভুক্তভোগি ভিকটিম (১৮) ভোলা জেলার লালমোহন থানাধীন চরভূতা গ্রামের বাসিন্দা। পার্শ্ববর্তী গ্রামের বখাটে মোঃ সাগর ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মোঃ সাগর ভিকটিমকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে গত ১২ জানুয়ারি মোঃ সাগর এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে তার বসত বাড়ী হতে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি পরিত্যাক্ত স্থানে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। উক্ত গণধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিম গত ২৫ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ভোলা বরাবর তিন জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত ভোলা জেলার লালমোহন থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনায় লালমোহন থানা পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি সরেজমিনে যাচাই পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন।
পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভিকটিম বাদী হয়ে ভোলা জেলার লালমোহন থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০৭, তারিখ ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। ধারাঃ-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সং/২০২০) এর ৯(৩) তৎসহ ৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার এহাজার নামীয় ১নং পলাতক আসামি মোঃ সাগর চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মোহরাস্তা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০৫ ফেব্রুয়ারি বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ সাগর (২০), পিতা-মনির বাকলাই, সাং-লালমোহন, থানা-লালমোহন, জেলা-ভোলা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার ১নং এজাহার নামীয় পলাতক আসামি বলে স্বীকার করে। এছাড়াও আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আত্মগোপন করে।
র্যাব-৭ জানায়, গ্রেফতার আসামি সংক্রান্ত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা জেলার লালমোহন থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।