
ববি প্রতিনিধি:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ভোলা রোড এলাকায় বাস ও সিএনজি (আলফা) চালকদের মধ্যে মারামারি চলাকালে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ববির তিন শিক্ষার্থী। শনিবার (৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আলফা (সিএনজি) সমিতির এবং স্থানীয় ৫-৭ জন যুবক তাদের মারধরে জড়িত। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টা ধরে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বেলা ১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের দাবিতে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভোলা রোডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা চলছিল।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের তানজিল আজাদ ও রবিউল ইসলাম এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তরিকুল ইসলাম। তবে অভিযুক্তদের নাম এখনো জানা যায়নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, মহাসড়কে বাস ও সিএনজির মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও মারামারি চলছিল। শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন, যাতে রাস্তার মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে। এ সময় এক সহপাঠীকে মারধর করা হলে তাঁরা প্রতিরোধ করতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আলফা (সিএনজি) ও বাসচালকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। তখন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে কয়েকজন যুবক তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের মারধরের খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে এসেছি এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, যাতে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”