২১ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা। জাতীয় দলের হেড কোচ জেমি ডে সেই ক্যাম্প নিয়ে পরিকল্পনা করছিলেন। ঠিক তখনই বাফুফের জাতীয় দল কমিটি তাকে জাতীয় দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে। বাফুফে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে কিছু জানায়নি।
এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে প্রথম শুনে কিছুটা চমকে গেলেও পুরোপুরি আশ্চর্য হননি বলে জানান জেমি ডে, ‘আশ্চর্য হইনি। ফুটবল বিশ্বে এমন হতেই পারে। কোচদের চাকরি সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ।’
বাফুফের সঙ্গে জেমি ডে’র চুক্তি রয়েছে আগামী বছর আগস্ট পর্যন্ত। চুক্তি অনুযায়ী তাকে বেতন-ভাতা দিতে হবে। বাফুফে তা দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছে। চুক্তি ও বেতন সম্পর্কে জেমি বলেন, ‘আমার এখনো চুক্তি রয়েছে। চুক্তি থাকা অবস্থায় আমাকে এভাবে কাজ থেকে দূরে রাখাটা বিস্ময়কর। বাফুফে আমাকে জানাতে পারত। আমাকে না জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়াটা আমার কাছে অপেশাদার মনে হয়েছে।’
আগামী দুই-তিন মাস বাফুফেকে জেমির বেতন দিতে হবে। কাজ না থাকলেও বসে বসে জেমি বেতন পাবেন। তবে এই প্রক্রিয়াটা জেমির কাছে শোভনীয় নয়। তিনি তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলেন, ‘আমি কিছু দিনের মধ্যে লন্ডন যাব। সেখানে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
জেমির স্থলাভিষিভিক্ত হয়েছেন বসুন্ধরার কোচ অস্কার ব্রুজন। বাফুফে ভাবছে জেমির তুলনায় অস্কার সাফে ভালো কিছু দিতে পারবে। জেমি নিজের দায়িত্ব হারালেও অস্কারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ‘আমি দলের সঙ্গে না থাকলেও চাই বাংলাদেশ দল ভালো করুক। বাংলাদেশ দল এবং অস্কারের প্রতি আমার শুভ কামনা।’
প্রায় তিন বছর জামালরা জেমির অধীনে অনুশীলন করে আসছেন। জেমির পরিকল্পনা সম্পর্কে তারা জ্ঞাত। টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে কোচ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়দের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন জেমি, ‘এটা কিছুটা হলেও খেলোয়াড়দের উপর প্রভাব পড়তে পারে। সেটা মানসিক বা পারফরম্যান্স যে কোনো কিছুতেই। প্রতিটা কোচের ভিন্ন ভিন্ন কৌশল এবং পদ্ধতি আছে। নতুন কোচের অধীনে খেলোয়াড়দের নতুন করে প্রমাণ করতে হবে।’
জেমি এখন কিছুটা শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। এখনো রিপোর্ট পাননি। তার রক্ত পরীক্ষায় অবশ্য কিছুটা করোনা পজিটিভের লক্ষণ পাওয়া গেছে। করোনা নেগেটিভ হলে বাফুফের সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই তিনি লন্ডন যাবেন।