

পটুয়াখালীর বাউফলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম বয়াতী (১৯) হত্যার চার দিন পার হলেও মূল অভিযুক্ত শাকিল ও সোহাগ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। শনিবার (৫ জুলাই) নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নিহতের সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
বক্তারা জানান, নিহত ফাহিম নওমালা আব্দুর রশিদ সরদার ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। পূর্ব শত্রুতা এবং অভিযুক্ত শাকিলকে ‘গাঁজাখোর’ বলে অপমান করায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় ফাহিমের বাবা জাকির হোসেনকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তিনি বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় অভিযুক্ত শানু মীরকে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তবে চার দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি শাকিল ও সোহাগ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তারা দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি (ফাঁসি) নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা সবাই বাউফলের হলেও ঘটনাটি দশমিনা উপজেলার সীমানার মধ্যে পড়েছে। তাই মামলাটি দশমিনা থানায় হয়েছে। আমরা তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করছি।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল আলীম বলেন, হত্যা মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল আসামি শাকিল ও সোহাগকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। খুব দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।