ফ্লোরিডায় আঘাত হেনেছে ‘হ্যারিকেন মিল্টন’

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে আঘাত হেনেছে চরম বিপজ্জনক হ্যারিকেন মিল্টন।

মহাশক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হ্যারিকেন মিল্টনের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সতর্কতা আগেই দেওয়া হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে হ্যারিকেনের তাণ্ডবে ইতোমধ্যেই ১২ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যারিকেন মিল্টন বুধবার ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়েছে। এটি টর্নেডোর জন্ম দিয়েছে এবং এই অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত বয়ে এনেছে। এতে করে এটি টাম্পা উপসাগর এলাকাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে এবং সেখানে সমুদ্রের পানিতে প্রাণঘাতী ঢেউ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে মাত্র দু’সপ্তাহ আগে হ্যারিকেন হেলেনের আঘাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে প্রায় ২০ লাখ লোককে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আরও লাখ লাখ মানুষ ঝড়ের অভিক্ষিপ্ত পথে বাস করছেন।

হ্যারিকেন মিল্টন আঘাত হানার আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জনগণকে স্থানীয় নিরাপত্তা বিধান অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বাইডেন বলেন, ‘এটি আক্ষরিক অর্থেই জীবন ও মৃত্যুর বিষয়।’

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ এবং ‘জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ’ হ্যারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডার সিয়েস্তা কিতে আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার জানিয়েছে।

গভর্নর রন ডিসান্টিস সতর্ক করার পর প্রচন্ড বাতাস এবং আকস্মিক বন্যার সতর্কতাসহ ক্যাটাগরি থ্রি ঝড় হিসাবে আঘাত হানে হ্যারিকেনটি।

এছাড়া কয়েক ডজন টর্নেডো এবং ঝড়ের জলোচ্ছ্বাসের বিষয়ে সতর্কতা জারি করায় লক্ষাধিক মানুষ বুধবার অঙ্গরাজ্যটি থেকে পালিয়ে গেছেন বলেও জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ফ্লোরিডার পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলের জন্য সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হ্যারিকেনের রেকর্ড গড়তে পারে মিল্টন।

এমন অবস্থায় হ্যারিকেন মিল্টন আছড়ে পড়ার আগেই ফ্লোরিডা উপদ্বীপের প্রায় পুরো পশ্চিম উপকূলে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করা হয়।