রিয়াজ উদ্দিন: চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান তারা। আর সুযোগ পেলেই কোনো গাড়ির ব্যাটারি কিংবা অতিরিক্ত চাকা তালা ভেঙে নিয়ে নেয় চোর চক্র। শুধু চট্টগ্রাম শহর নয়, এই চক্রটির বিস্তার আশপাশের উপজেলাগুলোতেও। নৌবাহিনীর দুটি বাস থেকে দুটি ব্যাটারি চুরি হওয়ার ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রটির খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। চুরি হওয়া ব্যাটারি দুটি উদ্ধারের পাশাপাশি চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১২ মার্চ কোস্টগার্ড বেজের মেইন গেটের সামনে অপেক্ষমাণ নৌবাহিনীর দুটি বাস থেকে ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় নৌ বাহিনীর নেভাল এভিয়েশনের এমটির চিফ মো. মনজুর রহমান পতেঙ্গা মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন শাহ আমানত বিমানবন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ খাজা এনাম এলাহী।
খাজা এনাম এলাহী বলেন, আমরা অনুসন্ধানে নেমে ঘটনাস্থল ও আশপাশের বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। পরবর্তীতে কয়েকটি অটোরিকশাকে চিহ্নিত করে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করি। এর মধ্যে একজন চালক চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। পরবর্তীতে মহানগরীর হালিশহর, বন্দর, ইপিজেড, ডবলমুরিং এবং চান্দগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মো. আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ হৃদয় বাবু ও মো. মইনুল ইসলামকে গ্রেফতার করি। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চান্দগাঁও এলাকা থেকে চুরি হওয়া মালামাল আসামি মো. জসিম উদ্দিনের হেফাজত থেকে এবং হালিশহর এলাকার একটি গ্যারেজ হতে চোরাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটি জব্দ করি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই চক্রটি নগরী ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে গাড়ির ব্যাটারি ও চাকা চুরি করে আসছিল। বেশিরভাগ সময় ব্যাটারি কিংবা চাকা চুরি হলে মালিক আইনের পথে হাঁটেন না। এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাচ্ছিল চক্রটি। আর চুরির পর মালামালগুলো জসিম উদ্দিনের কাছে বিক্রি করতেন। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মহানগরীর বিভিন্ন থানায় ছয়টি, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুটি এবং মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেফতার ও চোরাই মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় নো বাহিনীর পক্ষ থেকে পুলিশকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।