তামিমের বিশ্বাসেই ফিরলেন সাকিব,বাংলাদেশের পুঁজি ১৫৯

বাংলাদেশ- ১৫৯/৫ (২০ ওভার) (শান্ত ১, লিটন ১, তানজিদ ৩৫, সাকিব ৬৪*, মাহমুদউল্লাহ ২৫)

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ২ উইকেটের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৪ রানে হারে টাইগাররা। ফলে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বাঁচা মরার ম্যাচ হয়ে দাঁড়ায়। এমন ম্যাচেই আগে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে এই ম্যাচে পথ দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনি ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। এ ছাড়া তানজিদ হাসানের ৩৫ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২৫ রানের ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

বৃষ্টির কারণে প্রায় আধা ঘণ্টা বিলম্বে এই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নেদারল্যান্ডস। অবশ্য ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায়নি বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আরিয়ান দত্তের করা দ্বিতীয় বলে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ভিক্রমজিত সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। শান্তর ক্যাচ নিতে স্কয়ার লেগ থেকে মিড উইকেটে ছুটে গিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন তিনি।

তৃতীয় ওভারে ভিভিয়ান কিংমার ওভার থেকে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ১৮ রান নেন তানজিদ হাসান। যদিও এই লিটনের সঙ্গে তার জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি আরিয়ান। এই স্পিনারের টসড আপ ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে এলিংব্রেচের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। ফলে ২৩ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর লোগান ভ্যান বিকের ওপর চড়াও হয়েছিলেন সাকিব। তার ওভারে তিনটি চার হাঁকান তিনি। প্রথমটি ছিল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে। এক বল পর একই জায়গা দিয়ে আরেকটি চার মারেন সাকিব। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে টানা দুই বলে দুটি চার হাঁকান সাকিব। টপ এজ হয়ে বল চলে গিয়েছিল শর্ট ফাইন লেগে। সেখানেও ফিল্ডার নাগাল পাননি বলের। আর শেষ বলে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে চার মেরে ওভার শেষ করেন।

পরের ওভারের প্রথম দুই বলে টানা দুই চারে বাস ডি লিডকে স্বাগত জানান তানজিদ। ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৭ রান। দারুণ শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ। তিনি ভ্যান মিকিরিনের বলে পুল করতে গিয়ে ডিপে বাস ডি লিডের হাতে ক্যাচ দেন। ফলে ৫টি চার ও একটি ছয়ে সাজানো ৩৫ রানের ইনিংস শেষ হয়। দারুণ ছন্দে থাকলেও ডাচদের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়।

টিম প্রিঙ্গেলের স্কিড করা ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৯ রান। টিম প্রিঙ্গেলের করা ১৭তম ওভারে ১৬ রান তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। যদিও প্রথম চারটি আসে লেগ বাই থেকে। ছক্কাটি মারেন মিড উইকেটের ওপর দিয়ে। পরের বলেই সুইপার কাভার দিয়ে ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ।

অন্যপ্রান্তে উইকেট হারালেও সাকিব বেশ ধীরস্থিরভাবেই খেলেছেন। ৩৮ বলে তুলে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি। এর মধ্যে দিয়ে ১৯ ম্যাচ পর হাফ সেঞ্চুরির খরা কাটালেন তিনি। মিকিরিনের বলে লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পরের বলেই মাহমুদউল্লাহর উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

মিকিরিনের করা শর্ট বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। যদিও সীমানা ছাড়া করতে পারেননি এলিংব্রেচ সেখানে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে ২১ বলে ২৫ রান করা বাংলাদেশি এই ব্যাটারকে আউট করেছেন। আর তাতেই সাকিবের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ৪১ রানের জুটি ভাঙে। শেষ ওভারে বাস ডি লিডকে টানা দুই বলে দুটি চার মেরে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করেন সাকিব। জাকের আলী শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ১৪ রান করে।