ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের কাছে ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হওয়া হানিফ কর্মী নয় দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছে যুবলীগ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক প্রশান্ত কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই দাবি করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২ ও ৩ এপ্রিল বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও ফেসবুকে দেশের স্বনামধন্য রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগকে জড়িয়ে ‘‘ঠাকুরগাঁওয়ে ফেনসিডিলসহ যুবলীগ কর্মী গ্রেপ্তার’’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা যুবলীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি আদৌ সত্য নয়। পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তি মো. হানিফ ঠাকুরগাঁও যুবলীগের কোন ইউনিটের সদস্য নয়। অথচ কোনরকম যাচাই-বাছাই না করে সংবাদে তাকে অসৎ উদ্দেশ্যে যুবলীগের কর্মী উল্লেখ করা হয়েছে। এতে চরমভাবে সংগঠনের সম্মানহানি ঘটেছে। প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে ঠাকুরগাঁও যুবলীগ।
গত শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের স্বর্ণকারপট্টি এলাকায় অবস্থিত পুলিশ চেকপোস্টের সামনে নিজের দোকান থেকে হানিফ নামে এক যুবককে ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ। হানিফ যুবলীগের কর্মী বলে নিজেকে দাবি করে।
ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের পর শনিবার দুপুরে হানিফকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আদালত হানিফকে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।
সেদিন ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল বলেন, যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন। কোন অপরাধীর সাথে যুবলীগের সম্পর্ক নেই।