বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর বাউফলে আয়শা আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূ মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের বাবা দাবি করছেন, তার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছেন। আর শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলেছেন, হত্যা নয়, স্ট্রোক করে মারা গেছেন’।
বুধবার রাতে উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালী মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত আয়েশা রাজাপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। একই গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে সুজন মৃধার স্ত্রী। তাদের ১৩ মাস বয়সি এক কন্যা সন্তান রয়েছে। প্রায় ২বছর প্রেম করে বিয়ে করেন তারা।
নিহতের স্বজনেরা জানান, প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে আয়েশা ও সুজন বিয়ে করে। আয়েশার পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি। তবে পরিবারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ ছিল। স্বামী প্রায়ই মারধর ও নির্যাতন করতেন। গত এপ্রিল মাসে আয়েশা তার ধুলাভাইকে সোহেল রানার মোবাইলে খুদে বার্তায় লিখেন,‘ আমি মারা গেলে আমার লাশটা তোমরা নিয়ে যেও এবাং দাদুর পাশে মাটি দিও।
মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে বাবা মোবারক হোসেন বলেন,‘ আমার মেয়ে স্ট্রোক করে মারা যায়নি। জামাই সুজন, তার মা পেয়ারা বেগম ও ভগ্নিপতি নান্নু নির্যাতন করে আমার মেয়েকে হত্যা করে। এমনকি হত্যার পর তারা গোপন রেখে তড়িঘড়ি করে কবর দেয়ার চেষ্টা করেছিল। মৃত্যুর খবরও আমাদের জানানো হয়নি। পাশের বাড়ির লোকজন মারফত মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুঁটে যাই।
এ বিষয়ে আয়েশার স্বামী সুজন মৃধার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সুজনের বড় ভাই মামুন মৃধা জানান, তাকে ( আয়েশা) হত্যা করা হয়নি। সে স্ট্রোক করে মারা যান।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন,‘ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে।