কোপা আমেরিকার আয়োজক হিসেবে অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের পর শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলকে বেছে নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। ব্রাজিল সরকারও কোপা আমেরিকা আয়োজন করতে প্রস্তুত।
এরপরও করোনা পরিস্থিতিতে ব্রাজিলে টুর্নামেন্টটি আয়োজন নিয়ে সমালোচনা করেছেন দেশটির ফুটবলারেরা। তবে সমালোচনা করলেও, শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন নেইমাররা। আসন্ন কোপা আমেরিকাকে সামনে রেখে দল ঘোষণা করেছেন ব্রাজিলের কোচ তিতে।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলা সবশেষে দুই ম্যাচ থেকে মাত্র একটি পরিবর্তন এনেছেন তিতে। ডিফেন্ডার লুকাস ভেরিসিমোর জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন ফেলিপে।
টুর্নামেন্টের ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুটি দেশে হওয়ার কথা এবারের কোপা আমেরিকা। স্বাগতিক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও কলাম্বিয়াকে। কিন্তু যৌথ আয়োজকের তালিকা থেকে শেষ পর্যন্ত দুই দেশই বাদ পড়ল। এরপর গত সপ্তাহে কনমেবলের বৈঠকে নতুন স্বাগতিক দেশ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ব্রাজিলকে।
আগের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ১৩ জুনেই মাঠে গড়াবে কোপা আমেরিকা। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। আসরের প্রথম ম্যাচটি হবে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে। উদ্বোধনী ম্যাচে ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ব্রাজিল। এর আগে প্রথম ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে। মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনা ও চিলির। কিন্তু এবার ১৪ জুন হবে আর্জেন্টিনার ম্যাচ। চিলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করবে আর্জেন্টিনা।
এবারের আসরে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ১০টি দল। প্রতি গ্রুপ থেকে চারটি করে দল খেলবে নকআউট পর্বে। দুই অতিথি দল অস্ট্রেলিয়া ও কাতার খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত থাকছে না।
আগামী ৫ জুলাই নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে হবে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল। পরের দিন মানে গারিঞ্চায় হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। পূর্বনির্ধারিত দিন জুলাইয়ের ১০ তারিখেই মারাকানায় হবে ফাইনাল।
কোপা আমেরিকার ব্রাজিল দল
গোলরক্ষক: আলিসন (লিভারপুল), ওয়েভারতন (পালমেইরাস), এদেরসন (ম্যানচেস্টার সিটি)।
ডিফেন্ডার: দানিলো (জুভেন্টাস), এমেরসন (রিয়াল বেটিস), ফেলিপে (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), আলেক্স সান্দ্রো (জুভেন্টাস), রেনান লোদি (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), এদের মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), চিয়াগো সিলভা (চেলসি), মার্কিনিয়োস (পিএসজি)।
মিডফিল্ডার: কাসেমিরো (রিয়াল মাদ্রিদ), ফাবিনিয়ো (লিভারপুল), ফ্রেদ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), লুকাস পাকুয়েতা (অলিম্পিক লিওঁ), দগলাস লুইস (অ্যাস্টন ভিলা), এভেরতন রিবেইরো (ফ্লামেঙ্গো)।
ফরোয়ার্ড: নেইমার (পিএসজি), রবার্তো ফিরমিনো (লিভারপুল), গাব্রিয়েল বারবোসা (ফ্লামেঙ্গো), গাব্রিয়েল জেসুস (ম্যানচেস্টার সিটি), ভিনিসিউস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), এভেরতন (বেনফিকা) ও রিশার্লিসন (এভারটন)।