বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার সীমান্তে তারকাটা এলাকায় দু-দেশের মিলন মেলায় মিলন হলোনা এবার স্বজনদের।
তাই শুধু পুজা পালন করে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন সবাই। এ জেলার সীমান্তবর্তী হরিপুর উপজেলার টেংরিয়া গোবিন্দপুর গ্রামে ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার জমুর কালী (পাথর কালী) জিউ পূজা উপলক্ষে প্রতি বছরের মত এবারও পূজার আয়োজন করেছিল জমুর কালী পূজা উদর্যাপন কমিটি। তবে প্রতি বছরের মত পূজা উপলক্ষে সীমান্তে বসে মিলনমেলা আর এই সুযোগেই দুই দেশের আত্মীয়- স্বজনেরা তার কাটার ফাঁক দিয়ে মিলন ঘটতো। কিন্ত এবার তারা দেখা করতে পারেনি ওপারে (ভারতে) থাকা তাদের আত্মীয়দের স্বজনদের সাথে।করোনা ভাইরাসের কারণে সীমান্তের কাঁটা তারের কাছে লোকজন ভিড় জমাতে দেয়নি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ)।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, জেলার হরিপুর উপজেলার ঐতিহ্যাবাহী বাংলাদেশ-ভারত মিলনমেলা ভাতুরিয়া-তাজিগাঁও সীমান্তের নিভৃত গ্রাম টেংরিয়া গোবিন্দপুর কুলিক নদীর পাড়ে পাথর কালি পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত মিলনমেলা শুরু হয় ইংরেজি মাস ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শুক্রবার এই দিনে এই পূজা উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ মিলে কাঁটা তারের কাছে একদিন ব্যাপি বসে মিলনমেলা। এবার করোনা ভাইরাসের কারণে মিলনমেলা হয়নি এতে কাঁটা তারের বেড়ার ওপারে থাকা আত্মীয়-স্বজনরা মিলিত হয়নি।পীরগঞ্জের বাকলী রাণী (৫৭), চন্দ চাঁদ রায় (৬০) আমল (৪৭)সহ অনেকে বলেন, সকাল থেকে আমার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষায় দুপুর গড়িয়ে বেলা শেষের দিকে গেলোও তারপরেও দেথা করতে পারিনি। করোনা ভাইরাসের কারণে সব বন্ধ। আত্মীয়রা ওপারে অপেক্ষায় রয়েছে তারাও কাঁটা তারের কাছে ভিড়তে পারছেনা। এবার পূজা পালন করে বাড়ি যাব। আগামী বছর দেখা করতে হবে।
পূজা কমিটির সভাপতি কালিকান্ত রায় বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মিলনমেলা হয়নি শুধু পূজা পালন করা হয়েছে। গোবিন্দপুর ও চাপাসার সীমান্ত বাহিনীর সদস্যরা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে মিলনমেলা বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কতৃপক্ষ। কাঁটা তারের কাছে বাংলাদেশীরা যেনো না যায় সে জন্য আমাদের অনুরোধ করেছে তারা।