এমপির দেহের টুকরো খুঁজতে খালে জাল ফেলছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি

এমপির দেহের টুকরো খুঁজতে খালে জাল ফেলছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের খণ্ডিত মরদেহ খুঁজতে আবারও তল্লাশি চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। কসাই জিহাদ হাওলাদারের দেয়া তথ্যানুয়ায়ী শনিবার (২৫ মে) সঞ্জীভা গার্ডেনে বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।

আজীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বনগাঁ সীমান্ত থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা কসাই, খুলনার বাসিন্দা জিহাদ। পরে শুক্রবার আদালতের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির গোয়েন্দাদের কাছে খুনের পর ফ্ল্যাটেই দেহ টুকরো টুকরো করে লুকানোর লোমহর্ষক তথ্য স্বীকার করে সে।

আরো পড়ুন।

এমপি খুনের খবরে ভারতীয় মিডিয়ায় আগারওয়ালের নাম

জিহাদকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহ শেষ উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকার ব্যাপক তল্লাশি চালায় সিআইডি। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ আবারও তল্লাশিতে নেমেছে সিআইডি।

কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ অন্তত ৮০ টুকরায় বিভক্ত করা হয়। পরে তা ফেলা হয় খালসহ বিভিন্ন স্থানে। পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন জিহাদ হাওলাদার। সিআইডির আশঙ্কা, এমপি আনরের মরদেহের খণ্ডিত অংশ এরই মধ্যে হয়তো চলে গেছে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর পেটে।

মূলত আনারকে হত্যার জন্য ভারতের মুম্বাই থেকে ‘কসাই’ খ্যাত জিহাদ হাওলাদারকে কলকাতায় আনা হয়। কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর আনোয়ারুলকে হত্যার পর কীভাবে তার মরদেহ টুকরা টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়, তার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।