ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির শহীদ দিবস পালন

ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা পূর্ব লন্ডনের একটি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব লন্ডনের পিউর চায় এর কনফারেন্স হল রুমে ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, জগন্নাথপুর টাইমস এর সম্পাদক অধ্যাপক সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী ইকরা টিভির উপস্থাপক কবি সাংবাদিক মিজানুর রহমান মীরুর পরিচালনায় মহান শহীদ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শহীদদের স্মৃতির প্রতি এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনায় অংশ নেন গবেষক- সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী ও আনসার আহমদ উল্লাহ। একুশের কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন স্মৃতি আজাদ, হাফসা ইসলাম, ইমদাদুন খান ও আসমা মতিন।

একুশের আলোচনায় বক্তারা বলেন ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য একটি বিশেষ দিন। ১৯৫২ সালের এ দিনে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, রফিক উদ্দিন, শফিউর রহমান সহ নাম না জানা অনেকে। ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সহ সব বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও সুপরিচিত। বাঙালির ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ ঘোষণা দেয় প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। তারি ধারিবাহিকতায় রিপোর্টার্স ইউনিটির আজকের এই আলোচনা বিদেশের মাটিতে সার্থক হয়ে উঠুক।

আলোচনায় আরও অংশ নেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, সহ- সভাপতি জামাল খান, সহ- সভাপতি সাহেদা রহমান, সহ-সভাপতি জুবায়ের আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক এসকেএম আশরাফুল হুদা, কোষাধ্যক্ষ আজিজুল আম্বিয়া, সাংগঠনিক ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ সুয়েজ, অনুষ্টান ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইমরান মাহমুদ, রেডটাইমস এর আসমা মতিন, রেডটাইমস এর ইমদাদুন খান, সাংবাদিক শাকিল আহমদ সোহাগ, মুরাদ চৌধুরী  ও ইউকে বিডি টিভির আব্দুল মমিন প্রমুখ।

বক্তারা আরো বলেন পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা রক্ষায় আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা সর্বত্র শুদ্ধ চর্চা করতে হবে। বিলেতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলা ভাষার প্রতি পরিচয় করিয়ে তুলতে হবে, শেকড়কে জানাতে হবে। এরজন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিজস্ব শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চ্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে হবে। ভিনদেশীদের মাঝে সাহিত্য সংস্কৃতি তুলে ধরতে হবে।