অস্তিত্ব সংকটে আওয়ামী লীগ : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে শনিবার রাতে গণহত্যায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

‘অস্তিত্ব সংকটে আওয়ামী লীগ’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে অবশেষে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানানো হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে শান্তি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে নেওয়া হয়েছে। আরো জানানো হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এ বিষয়ে ড. ইউনূসের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরবর্তী কর্মদিবসে এ বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে নবগঠিত ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) ও ছাত্রদের নেতৃত্বে ইউনূসের সরকারি বাসভবনের সামনে আয়োজিত অবস্থান বিক্ষোভের পরই অন্তর্বর্তী সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন ও দেশ ত্যাগ করতে কার্যত বাধ্য হন। এরপর ৮ আগস্ট ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন।

এতে বলা হয়, বর্তমানে আওয়ামী লীগের বহু নেতা জেলবন্দি অথবা আত্মগোপন করে রয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা দেশের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে জরুরি ছিল।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনেও গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এখন ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে সরাসরি শাস্তির আওতায় আনতে পারবে।