গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
এছাড়া ১৪ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
ভাষার মাসে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায়টি ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় দেন বিচারকরা।
এ মামলায় বিচারিক আদালতে ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, দুজনের যাবজ্জীবন এবং তিন আসামির ১৪ বছরের কারাদণ্ডের রায় হয়।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় একটি স্কুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখার ঘটনা ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় মামলার পর ২০০১ সালের এপ্রিলে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এক রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ফায়ারিং স্কোয়াডে দণ্ড কার্যকরের রায় দেয় আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর। এর মধ্যে ইউসুফ, জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুর রহমান ও মুফতি আবদুল হাই পলাতক।
এছাড়া মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান এবং সরোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের পর ডেথ রেফারেন্সের নথি ওই বছরের ২৪ আগস্ট হাইকোর্টে পাঠানো হলে মামলার পেপারবুক প্রস্তুত হয়। পাশাপাশি কারাগারে থাকা আসামিরা আপিল করেন।
এ মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানকে আসামি করা হলেও অন্য একটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলায় তাকে বাদ দেওয়া হয়।