আব্দুর রহমান নোমান: ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের নিয়ে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে তজুমদ্দিন স্টেডিয়াম মাঠে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ এর সভাপতিত্বে মিলন মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মহিদুজ্জামান (বিপিএম), জেলা সিভিল সার্জন কে.এম শফিকুজ্জামান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন প্রমূখ।
মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কমপক্ষে প্রায় ১৬ হাজার সুবিধাভোগী ও সাধারণ জনগনের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মিলন মেলাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি শাওন বলেন, বিগত একনাগারে প্রায় ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকায় সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, হত-দরিদ্র, ভুমিহীন-গৃহহীন, ক্ষুদ্র নৃ-গৌষ্ঠী ও চরাঞ্চলের অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, পঙ্গু ও প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, জেলে ভাতা, আশ্রয়ণ প্রকল্পে মুজিব বর্ষের ঘর প্রদান, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, দুঃস্থ মহিলাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেলাই মেশিন প্রদান, বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ প্রদান, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস প্রদান, ভিজিডি-ভিজিএফ সহ সকল ধরনের সুবিধা সাধারণ জনগণ ঘরে বসেই পাচ্ছেন। তাছাড়াও ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
দেশবাসীসহ ভোলা-৩ আসনের সকলের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে এমপি শাওন আরো বলেন, দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন দুলাল, তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব ফকরুল আলম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান, অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার, কহিনুর বেগম শিলা, ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম শহিদুল্যাহ কিরন, মেহেদী হাসান মিশু, রাসেল মিয়া, আবু তাহের মিয়া, নুরুন্নবী সিকদার সহ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।