সৈয়দ আশরাফের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাবেক সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৯ সালের এই দিনে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় কারাগারে শহীদ জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ পুত্র।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আ.লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানান কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন। এ ছাড়াও তার ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলামের বারিধারার বাসায় কর্মসূচি পালিত হবে। সৈয়দ আশরাফের নিজজেলা কিশোরগঞ্জেও নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল হবে। সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের বীর দামপাড়া গ্রামের বাড়িতে কাঙালিভোজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

সৈয়দ আশরাফ ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহপ্রচার সম্পাদক ছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ছিলেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র। আবদুল জলিল গ্রেপ্তার হলে সৈয়দ আশরাফ দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৯৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ-১ সদর আসন থেকে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।