সীমান্তে মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হোক

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ঠুনকো কারণেই মারণাস্ত্রের ব্যবহার করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পাখির মতো গুলি মারে বাংলাদেশিদের। এ নিয়ে নানা সময়ই তিক্ততা বাড়ে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের। এবার সেই বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বি‌জি‌বির প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ‘বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি)’ বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘অনেক সময় সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুর্ঘনা ঘটে যায়। এ কারণে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে ও বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়েও আলোচনা চলছে। শিগগিরই সীমান্তে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীদের মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে। দুই দেশের সীমান্তে যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা মেনে চললে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা যাবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা আরও তৎপর হয়েছি। সীমান্তে শুধু বিওপির সংখ্যাই বাড়ানো হয়নি, বর্ডার সার্কুলেন্স সিস্টেম আমরা উন্নত করেছি। শুধু তাই নয় মোটরযান বলুন আর আধুনিক প্রযুক্তি বলুন সবই আমরা সংগ্রহ করেছি এবং বিজিবিকে আরও সমৃদ্ধ করেছি। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে যে ধরনের চোরাচালান ছিল সেগুলো এখন আর নেই। সব ধরনের চোরাচালান আমরা শূন্যের কোটায় নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

সীমান্ত হত্যা বন্ধে আমরা সবসময়ই সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। বরাবরের মতো এখনও আমরা সেই নীতিতে অটল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন আশাবাদে আমরা আশ্বস্ত হতে চাই। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে পার পেয়ে যাবে সেটাও আমরা চাই না। সীমান্তে চোরাকারবারিরা দু’দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তি পাক সেই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে ঠুনকো কারণেই গুলি করা যাবে না। এটা বন্ধ করতেই হবে। বাংলাদেশ সবসময়ই সেই পথে হাঁটছে, ভারতকেও সেই পথ ধরতেই হবে।