বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ ঘটনার সূত্রপাত দলীয় শঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মেজর হাফিজের শোকজ পাওয়ার পর। শোকজের জবাবে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন মেজর হাফিজ। সেখানে তিনি যুগ্ম মহাসচিবের শোকজে অপমানিত বোধ করছেন উল্লেখ করে বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করতে একটি মহল সক্রিয় বলে অভিযোগ করেন।
মেজর হাফিজের এ বক্তব্য লুফে নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধাকে সত্য বলার অপরাধে শোকজ করা দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারিদের সাথে গোপনসখ্যতা রাখায় বিএনপি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। সুযোগ পেলেই বিএনপি তাদের যেকোন নেতাকে আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলতে পারে। বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় রয়েছে। বিএনপির ভেতরের মহলটি বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতাকারিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন খোঁচায় পাল্টা জবাব দিতে ভোলেননি বিএনপির মহাসচিব। মির্জা ফখরুল সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে মূল্যায়ন করেনি। মেজর (অব.) হাফিজের বিরুদ্ধ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, গাড়ি পোড়ানো মামলা দিয়েছে সরকার। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন নিয়ে কথা বলেন।