ফেসবুক মেসেঞ্জারে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে করা কটুক্তির প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৪ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের পক্ষে ২০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসনের এমপি আলী আজম মুকুল ওই টাকা পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেন। টাকা দেয়ার সময় এমপি মুকুল পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত হন।
এমপি বলেন, যারা মারা গেছেন, তাদের ফেরত দেয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। আমাদের অভিভাবক সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ পাশে আছেন। আমরা আজীবন আপনাদের পাশে থাকব। এ সময় নিহত প্রতি পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেয়া হয়।
আলী আজম মুকুল বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত টিমের রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত টিমের রিপোর্ট অচিরেই পাওয়া যাবে। পুরো ঘটনাটিকে নিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় মুকুল দোষীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের সহায়তাও কামনা করেন।
ভোলা সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে আলী আজম মুকুল বলেন, নিহতদের পরিবারকে মানবিক সহায়তা করা হয়েছে। আহতদেরকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়াসহ সবগুলো দাবিই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
নিহতরা হলেন: উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শাহীন, একই উপজেলার মাহাবুব ও ৩ নং পৌর ওয়ার্ডের মাফুজ পাটোয়ারী। এছাড়া মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের হারুন মিস্ত্রীর ছেলে মিজানুর রহমান।
নিহতদের পিতা ও স্বজনদের কাছে ওই টাকা প্রদান করা হয়।
ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকে কেন্দ্র করে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঈদগাহ মাঠে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। ১০ জন পুলিশসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন।