বৃটেনের বর্ষসেরা চিকিৎস হিসেবে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) এর বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে ব্রিটিশ-বাঙালি চিকিৎসক ডা. ফারজানা হোসাইনের মুখচ্ছবি। গত ৫ জুলাই, রোববার এনএইচএস‘র প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে বিশেষ অবদানের জন্য বাছাই করা স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে এনএইসএস ইংল্যাণ্ড। আর এই উদ্যোগের অংশ হিশেবে রাজধানী লণ্ডনের বিখ্যাত পিকাডেলি সার্কাসের সামনে এনএইচএসের এক বিশাল বিলবোর্ডের বিশাল ক্যানভাসে ভাসছে ডা. ফারজানা হোসেইনের হাসিমাখা মুখ।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনার এই মহামারির সময়ে সামনের সারিতে থেকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে এই স্বীকৃতি পেলেন ফারজানা হোসেইন।
উল্লেখ্য, এনএইচএস তাদের ১২ জন বাছাইকৃত স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে এ রকম বিলবোর্ড ইংল্যাণ্ড সাঁটিয়ে দিয়ে এই বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছে। নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ সেখানে অন্যদের সঙ্গেও স্থান করে নিয়েছেন ফারজানা। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফারজানা হোসেইন ২০১৯ সালে বৃটেনের অন্যতম বর্ষসেরা চিকিৎসক নির্বাচিত হন।
গত দেড় যুগ ধরে পূর্ব ল-নে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত আছেন ডা. ফারজানা হোসেইন। তাঁর পিতা ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) থেকে বৃটেনে পাড়ি জমান। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামনের কাতারে থেকে কাজ করেছেন তিনি। গত কয়েকমাস ধরে অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি টিকা দেওয়ার ক্লিনিকগুলোতে ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন।
পূর্ব লণ্ডনের নিউহ্যামে বসবাসকারী ফারজানা হুসেইন গত ১৮ বছর ধরে স্থানীয় পর্যায়ে এই স্বীকৃতি পেয়ে আসছিলেন। এবার মিললো জাতীয় স্বীকৃতি।
ডা.ফারজানা গত তিন বছর ধরে নিউহ্যামের স্থানীয় চিকিৎসা কমিটিতে ছিলেন। এছাড়া তিনি নিউহ্যামের ‘জেনারেল প্র্যাকটিস ফেডারেশন’-এর বোর্ড পরিচালক এবং যুক্তরাজ্যের ‘এনএপিসি’-র কাউন্সিল সদস্য। স¤প্রতি তিনি প্রাথমিক কেয়ার নেটওয়ার্কে ক্লিনিকাল পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন।
ফারজানার পিতাও বৃটেনে পেশাদার চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর স্বামী ডাক্তার সাফি আহমেদও খ্যাতনামা চিকিৎসক। তিনি বিশ্বের অন্যতম একজন ভার্চুয়াল সার্জন এবং ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। ডা. শাফি কমিউনিটির অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তি প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম মিম্বর আলীর পুত্র।
ডা. ফারজানার এই কৃতিত্বে গর্বিত বাঙালি কমিউনিটির অনেকেই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।