বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী আজ এখানে বলেছেন, ভারত সহজ এবং আরও সরলীকৃত পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে আরও বেশি বাণিজ্য করতে পারলে খুব খুশি হবে।
মঙ্গলবার আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা উন্নয়নের মাধ্যমে স্থলবন্দর, রেলপথ এবং নদীপথ ব্যবহার করে আমরা দুদেশেন মধ্যে বাণিজ্য আরো অনেক সম্প্রসারণ করতে পারি।
রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আরসিসিআই) নগরীর আরসিসিআই মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বাণিজ্য ইস্যু’ শীর্ষক উক্ত সভার আয়োজন করে।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
আরসিসিআই সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে অনষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি।
অনুষ্ঠানে মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিভিন্ন সমস্যা, সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
দিনাজপুর চেম্বারের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামীম, বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানিকারক-রপ্তানিকারক সমিতি এবং কাষ্টমস ক্লিয়াারিং অ্যান্ড ফরোয়াার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ সায়েদুজ্জামান এবং সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানিকারক-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে নানা প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যের ওপর ভারতীয় রাজ্য সরকারগুলোর আরোপিত শুল্ক ও অশুল্ক বাধার কারণে ভারতে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের কাঙ্খিত রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
তারা ভারতীয় হাইকমিশনারকে ট্রাক থেকে আমদানীকৃত পণ্য খালাসের সুবিধার্থে এবং রংপুর বিভাগের স্থলবন্দরগুলোতে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে ভারতীয় কাস্টমস অফিস সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুরোধ জানান।
ভারতীয় হাইকমিশনার ব্যবসায়ী নেতাদের উত্থাপিত সমস্যাগুলিকে জটিল বলে অভিহিত করে বলেন, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারী দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সামগ্রিকতার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে।