পাকিস্তান যাচ্ছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের আয়োজিত বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ একটি প্রতিনিধি দল।

এটা হবে এক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম সফর। শাহরিয়ার আলম একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে দেশটিতে যাচ্ছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করেছে পাকিস্তানে। ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর এ অধিবেশন হবে। এতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্র সচিব ১৮ ডিসেম্বর সিনিয়র অফিসিয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এর পরের দিন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

ওআইসির অনুষ্ঠানের বাইরে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো বৈঠক নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।

২০১২ সালে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পাকিস্তান সফর করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। তারও আগে ২০১০ সালে দ্বিপক্ষীয় পঞ্চম পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তান যান তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা, সম্পদের বাটোয়ারা ও আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠায় সেই আলোচনা বেশি দূর এগোয়নি।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যায় এবং একাধিক যুদ্ধাপরাধীর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার এবং কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সংসদ বিবৃতি দিলে তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।

পাকিস্তানে ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৯ ও ২০২০ সালে দুই দফা টেলিফোন করেন।

চলতি বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ইমরান খানের একটি শুভেচ্ছা বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।