ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতেপ্রায় সবকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। তলিয়ে গেছে ফসলের খেত।
ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, জেলার টাঙ্গন, নাগর ও বুজরুক নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যহত থাকলে যেকোনো সময় তা বিপদসীমা অতিক্রম করবে।
শনিবার জেলা সদরে ৮৬ মিলি মিটার ও বালিয়াডাঙ্গীতে ৭০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার খালপাড়া, ডিসি বস্তি, মুন্সিপাড়া, কলেজপাড়া, নয়াবস্তি, শেনুয়াপাড়া এবং সদর উপজেলার সালন্দর, বরুনাগাঁও এবং কুমারপাড়া।
এছাড়া রানীশংকৈল, পীরগঞ্জ ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামও বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আফতাব আহমেদ জানান, অবিরাম বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়ার জন্য আমন খেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকা দমনের জন্য ‘সিস্টেমেটিক ইন্সেক্টিসাইড’ কীটনাশক স্প্রে করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে আগাম শীতকালীন সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে টানা বৃষ্টির কারণে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নদী-নালার পানি বৃদ্ধি পেয়ে পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডিসি বস্তিসহ টাঙ্গন নদীর কাছে বসবাসকারী মানুষজনকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শনিবার তাদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ইউএনও, ঠাকুরগাঁও সদর এবং সংশ্লিষ্ট মহিলা কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।