চলন্ত ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মা ও তার শিশুসহ চারজনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে অগ্নিসংযোগের হামলায় নিহতদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, কারা এ হামলা চালিয়েছে তা শনাক্ত করতে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ‘দ্রুত’ উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে। নাশকতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তদন্তে দেখা গেছে যে এই কাজ পূর্বপরিকল্পিত ছিল, এই মারাত্মক ঘটনার পরিকল্পনা করার জন্য সভা করেছিল। আসন্ন নির্বাচন ও দেশের অগ্রগতি ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে এই নাশকতা রাষ্ট্র ও জনগণের ওপর সরাসরি হামলা।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, তারা বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন, যেখানে জনগণ কোনো ধরনের ভয়ভীতি ছাড়াই ভোট দিতে পারবে। অবশ্যই নির্বাচনের পর আমাদের কিছু বলার আছে, কিন্তু আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে ‘দৃঢ় অবস্থান’ নিয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তারা শান্তি সমুন্নত রাখতে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।’