ঘূর্ণিঝড় দানা প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় চলছে

শাহাদাত হোসেন নোবেল, (খুলনা):

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ গতকাল ২৪ অক্টবার ২৪ ইং পর্যন্ত ভারতের ওড়িশা উপকূলের কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ অবস্থান করছে এবং ঘূর্ণ্যমান মেঘের অগ্রবর্তী অংশ ওড়িশা উপকূলে পৌঁছে গেছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল ৬টার মধ্যে ওড়িশায় তীব্র ঘূর্ণিঝড় (৮৯–১১৭ কিমি/ঘণ্টা) হিসেবে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ পর্যালোচনায় এটি বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত করার সম্ভাবনা নেই বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ শুক্রবার থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যোষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ সকাল থেকে খুলনা ও আশপাশের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য বিপদ বিবেচনায় খুলনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গত ২৩ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বৈঠক করেন।

সভায় জানানো হয়, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোয় মানুষের অবস্থান করার মতো পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ চলছে। খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

খুলনা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জন্য বিভিন্ন উপজেলায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট তিন লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এদিকে নদীতীরেও অর্ধশতাধিক মাছ ধরার নৌকা ভিড়ে থাকতে দেখা যায়।

সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা জেলেরা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সুন্দরবনের নদ-নদী ও খালের পানি বেড়ে গেছে। স্রোত অনেক বেশি হওয়ায় জাল ফেললে পানির তোড়ে ছিঁড়ে যাচ্ছে। বনের পাশের সাগরও উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ জন্য আগাম আবহাওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত উপকূলে ফিরে এসেছেন তাঁরা।