ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদার বলেছেন, আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে গ্রাহকদের দায় মেটানো সম্ভব।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।
আলেশা মার্ট বন্ধ হয়ে গেছে সম্প্রতি এমন খবর ছড়ি পড়লে বনানীতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে ভিড় করেন গ্রাহকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে খবরটিকে বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি জানায় এ বিষয়ে বুধবার (১৭ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ের নাসরিন টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে।
তবে, বুধবার নাসরিন টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন হয়নি। কিন্তু সন্ধ্যায় আলেশা মার্টের ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিওবার্তায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম বলেন, ‘আমি আজ একটু অসুস্থ। প্রেস কনফারেন্স কল করেছিলাম, কিন্তু আসতে পারিনি। অসুস্থ শরীরেও জরুরি পরিস্থিতিতে সামনে আসতে হয়েছে। আলেশা মার্ট একটা বড় কোম্পানির আন্ডারে একটা কনসার্ন। আমি জানি অনেকের ডিউ (বকেয়া) হয়ে আছে, কিন্তু আমাদের রেকর্ড অনেক ভালো ছিল। আমাদের চারটা ক্যাম্পেইনে কখনোই ডেলিভারি দেরি করিনি। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। হঠাৎ করে নিয়মকানুনের গ্যাঁড়াকলে এবং অতিরিক্ত কন্ট্রোভার্সির জন্য ক্যাশ সমস্যায় পড়েছি আমরা। তার মানে এই নয় আমাদের মতো কোম্পানি এটা দিতে পারবে না।’
গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হতাশ হবেন না, একটু ধৈর্য ধরুন। আলেশা মার্টের ক্যাপাসিটি আছে আপনাদের প্রত্যেকের টাকা দেওয়ার।
তিনি বলেন, সবার সমস্যা এখনই সমাধান করতে পারছি না। তবে আমাদের সব কার্যক্রম চালু আছে। আমিও নিয়মিত অফিস করি। আমি আগেও বলেছি আলেশা মার্ট অনেক বড় কোম্পানি, আমাদের যে দায় আছে তা সম্পূর্ণভাবে জানুয়ারিতে দেওয়া সম্ভব। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে জমকালো আয়োজনে যাত্রা শুরু করা আলেশা মার্টের প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, কিউকম এবং ধামাকাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।