‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০২০’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সালের জন্য ভারতের মর্যদাবান ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০২০’-এ ভূষিত হয়েছেন।

মহাত্মা গান্ধীর অহিংস পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধুকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সোমবার বিকেলে নয়াদিল্লীতে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদান, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এবং এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার গোড়াপত্তনের জন্য তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত করা হলো।

ভারত সরকার ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ প্রদান করে আসছে। মহাত্মা গান্ধীর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে ২০২০ সালে এ পুরস্কারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ পুরস্কারে ভূষিত হলেন।

‘গান্ধী শান্তি পুরস্কারের’ বিচারক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া বিচারক মণ্ডলীর অন্য সদস্যরা হলেন- ভারতের প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা।

এছাড়া লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং সুলভ ইন্টারন্যাশনাল সামাজিক সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বিন্ধ্যেশ্বর পাঠক বিচারক মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

২০২১ সালের ১৯ মার্চ জুরি বোর্ডের সভায় বিস্তারিত আলোচনার ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে ২০২০ সালের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এর আগে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, তানজানিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস নায়ার, জার্মানীর ড. গেরহার্ড ফিসার্চ, রামকৃষ্ণ মিশনের বাবা অমিত, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু ও বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংক।

এছাড়া ২০১৫ সালে ভারতের বিবেকানন্দ কেন্দ্র, ২০১৬ সালে যৌথভাবে অক্ষয় পত্র ফাউন্ডেশন ও সুলভ ইন্টান্যাশনাল, ২০১৭ সালে ভারতের অকাল অবয়ব ট্রাস্ট এবং ২০১৮ সালে জাপানের ইয়োহি সাসাকাওয়া এ পুরস্কার লাভ করে।

এই পুরস্কারের অর্থমূল্য হচ্ছে, ১ কোটি ভারতীয় রুপি। সঙ্গে দেওয়া হয় মানপত্র ও ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প পণ্য।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি (বঙ্গবন্ধু) ভারতীয়দের কাছেও হিরো।