আব্দুর রহমান নোমান: ভোলা জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। জেলা থেকে প্রতিনিয়ত নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হলেও সেখান থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৪০ জনের। এই ৪০ জনের কারও করোনাভাইরাস পজিটিভ নয়। তাদের প্রত্যেকের ফলাফল নেগেটিভ।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা: রতন কুমার ঢালী প্রিয়দেশ নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বুধবার তিনি জানিয়েছিলেন, ভোলায় এখন ৫০ জনকে করোনাভাইরাস সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪৬১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এরমধ্যে ৪১১ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস এ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১১২ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩০ জনে।
এসময়ে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ভোলা জেলার সঙ্গে নৌপথ ও সড়ক পথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার ভেদুরিয়া ও ইলিশা ঘাটসহ জেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে ট্রলার দিয়ে যাত্রী পরিবহন অব্যাহত রেখেছে কিছু দুষ্কৃতিকারী। এতে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়ছেন ভোলা লাখ লাখ মানুষ।
এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শঙ্কার কথা জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ভোলার ডিসি মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক ভোলা প্রতিদিনকে বলেন, ট্রলারে করে যাত্রী পরিবহন করে যারা ভোলাকে করোনা ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন, তাদের বিষয়ে আরও কঠোর হবে জেলা প্রশাসন। যারা এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যেই অ্যাকশন শুরু হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ভোলাকে সুরক্ষিত রাখতে আরও কঠোর অবস্থানে যাবে প্রশাসন।
তবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ মালামাল পরিবহনে ফেরি চালু রয়েছে। এছাড়াও জেলায় ফার্মেসি, মুদি দোকানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।