কেরালার কোঝিকোড বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত ১৪ জনের প্রানহানী হয়েছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা ” প্রিয়দেশ নিউজকে” ভারতীয় সময় রাত এগারোটায় জানিয়েছেন যে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে যে তথ্য তার কাছে এসেছে, তাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মিসেস শৈলজা বলছেন, “চিকিৎসকরা আমাকে জানিয়েছেন যে বেশিরভাগ যাত্রীকেই বাইরে থেকে দেখে আঘাত বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর পরে দেখা যাচ্ছে ইন্টারনাল হেমারেজ হয়েছে তাদের।”
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের যে দলটি কোঝিকোড বিমানবন্দরে উদ্ধারকাজে নেমেছে, তার কমান্ডিং অফিসার রেখা নামিয়ার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “বিমান থেকে বেশ কয়েকজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি সব যাত্রীকেই বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
”আহতদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন। যতক্ষণ না এনডিআরএফ সদস্যরা বিমানটির ভেতরে শেষবার খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন, ততক্ষণ আমরা উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে বলতে পারব না। তবে মনে হচ্ছে বিমানটির ভেতরে আর কেউ আটকে নেই,” জানাচ্ছেন রেখা নামিয়ার।
যা জানা যাচ্ছে..
অন্তত ৪০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি দুবাই থেকে বিদেশে আটকিয়ে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসছিল।
ভারতের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডি জি সি এ জানিয়েছে যে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই বিমানটি অবতরণ করছিল। দৃশ্যমানতা ছিল ২০০০ মিটার।
বিমানটি রানওয়ে ওয়ান জিরো ছোঁয়ার পরে না থেমেই রানওয়ের শেষ মাথায় চলে যায় আর তার পরে সেটি ছাড়িয়ে সামনের উপত্যকায় গিয়ে পড়ে। তখনই বিমানটি দুটো টুকরো হয়ে যায়।
কেরালায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে — বন্যা চলছে সেখানে। আজই ইদুক্কি জেলায় ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে — তারপর রাতে বিমান দুর্ঘটনা।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট IX 1344 বিমানটিতে ক্র্যু ও যাত্রী মিলিয়ে ১৯১ জন ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে ১০ জন শিশুসহ ১৭৪জন যাত্রী, দুজন পাইলট এবং ৫ জন কেবিন ক্রু।
ভারতের একজন বিমান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন মোহন রঙ্গনাথন এন ডি টি ভি চ্যানেলকে একটু আগেই বলছিলেন যে তিনি নয় বছর আগে কোঝিকোড বিমানবন্দরের ওই রানওয়েটি পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলেন, যেখানে এই রানওয়ে ওয়ান জিরোর নিরাপত্তায় যে বড়সড় ঝুঁকি আছে, সেটা উল্লেখ করেছিলেন।
তিনি বলছেন ওই রানওয়েটি ঢালু এবং তারপরেই প্রায় দুশো মিটার গভীর উপত্যকা.. কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে পৌছনও কষ্টকর হবে বলেও জানান ক্যাপ্টেন রঙ্গনাথন।