আপিল বিভাগে আবেদনকারীরা কোটা আন্দোলনরতদের কেউ নন’

কোটা ব্যবস্থা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তবে, এই আবেদন চলমান কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে এমন তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলছেন, তাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে যাননি। এ আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে কোনো প্রতিনিধি হাইকোর্টে যায়নি। আমাদের এক দফা দাবি দেশের নির্বাহী বিভাগের কাছে যে, সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে সকল ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

 

নাহিদ ইসলাম নামে আরেক সমন্বয়ক বলেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনো আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের দাবি সরকার ও নির্বাহী বিভাগের কাছে। যারা আদালতে গিয়েছে নিজ উদ্যোগে গিয়েছে। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নাই।

অন্যদিকে, কোটা ব্যবস্থা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।

এ বিষয়ে আল সাদী ভূঁইয়া ও আহনাফ সাঈদ খান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে তাদের পক্ষ থেকে নিজ উদ্যোগে আমরা আবেদন করেছি। চলমান আন্দোলনের পক্ষ থেকে নয়। আমরা আন্দোলনে সম্পৃক্ত নই।

প্রসঙ্গত, সকাল ১১টার দিকে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থাগিত চেয়ে এফিডেভিট দায়েরের জন্য আবেদন করা হয়। তখন চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এফিডেভিট দাখিলের জন্য অনুমতি দেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ঠ শাখায় এ আবেদন দায়ের করা হয়। আবেদনের ওপর দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালতে শুনানি শেষে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। আগামীকাল বুধবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই শুনানি হবে।

এর আগে গত ৪ জুলাই রিটকারী পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়