কারওয়ান বাজারে কোনো কাঁচাবাজার থাকবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন অতি ঝুঁকিপূর্ণ আটটি মার্কেটের মধ্যে চারটিই কারওয়ান বাজারের। এসব মার্কেট ভেঙে পড়তে পারে যেকোন সময়। এতে করে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এমনটি হলে এই দায় কে নেবে?
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর টিসিবি ভবনে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসি মেয়র এই প্রশ্ন করেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ কারওয়ান বাজারের মার্কেট যে কোনো সময় ভেঙে পরতে পারে। মার্কেট ধসে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার দায়িত্ব কে নেবে? ক্রেতা-বিক্রেতার জানমালের নিরাপত্তা স্মার্ট বাংলাদেশে নিশ্চিত করতে হবে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তেই স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট স্থানান্তরে ব্যবস্থা নিতে। বিভিন্ন মার্কেট ধসে পড়ছে। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার পুনরায় চিঠি দিয়ে বলেছেন, আটটি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে। তাই আমরা মার্কেটগুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ লিখে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু, দুঃখের বিষয় সেই সাইনবোর্ডও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশের রাজধানীর মাঝখানে পচনশীল পণ্যের পাইকারি কাঁচাবাজার নেই। স্মার্ট বাংলাদেশে ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে পাইকারি কাঁচাবাজার থাকতে পারে না। কারওয়ান বাজারে কোনো কাঁচাবাজার থাকবে না। আমি উন্নত দেশের পাইকারি মার্কেটগুলো পরিদর্শন করেছি। পর্যাপ্ত খালি জায়গাসহ সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করে মার্কেটের ডিজাইন করা হবে।’
সবার সঙ্গে আলোচনা করেই কারওয়ান বাজারের আড়ত স্থানান্তর করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করে দিচ্ছি। স্থানীয় তিনজন কাউন্সিলর, কারওয়ান বাজারের সুপার মার্কেট ও কাঁচাবাজার মার্কেটের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতা এবং ডিএনসিসির কর্মকর্তার সমন্বয়ে এই কমিটি গঠিত হবে। এ কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।’
মেয়র আতিকুল বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে কারওয়ান বাজার সরানোর জন্য যাত্রাবাড়ী, গাবতলী ও মহাখালীতে মার্কেট নির্মাণ করা হয়। এটি একনেকে পাশ হওয়া প্রকল্পের আলোকে হয়েছে। সেসময়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনেই একনেকে পাশ হয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হয়। অতএব, এটি কারও মনগড়া কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী প্রায় ছয় মাস আগে পার্লামেন্টে বলেছেন যে, পদ্মাসেতু হয়ে গেছে… সুতরাং দক্ষিণের জেলাগুলো থেকে আসা পণ্য ঢাকা শহরের দক্ষিণ প্রান্তে থাকবে। আর বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে আসা পণ্য ঢাকার উত্তর প্রান্তে থাকবে।’