নতুন মার্কিন ভিসা নীতিতে অগ্নিসংযোগ বন্ধ হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ আশা প্রকাশ করে বলেছেন, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা বন্ধ করবে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অগ্নিসংযোগ বন্ধ করতে চাই… যদি এটি (মার্কিন ভিসা নীতি) অগ্নিসংযোগের ঘটনা বন্ধ করে, তা হবে একটি আশীর্বাদ।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আপনি জানেন (অগ্নিসংযোগ) কারা এটা করে। তাই নেতৃত্বকে সতর্ক থাকতে হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, কারণ এটি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে।

এরপর মোমেন বলেন, ‘কারা (যুক্তরাষ্ট্রের) ভিসা নেয় ? কিছু ধনী ব্যক্তি এবং সরকারি কর্মকর্তারা (এটা নেন)। যারা আমার রাজনৈতিক এজেন্ট এবং যারা ভোটের সময় কাজ করবেন, তারা ভিসা নিতে যাবেন না।’

তিনি বলেন, কিছু রাজনীতিবিদ, বড় ব্যবসায়ী বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যাদের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করে এবং সেখানে বসবাস করে, তারা ভিসা নেয়। নতুন ভিসা নীতির ফলে মানি লন্ডারিং কমে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অস্থিরতা বাড়ার আশঙ্কায় বুধবার যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন বাংলাদেশিদের ভিসা সীমিত করা হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই নীতির ফলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ভিসা ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেকসই অঙ্গীকারের পাশে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে বলে, বাংলাদেশ সরকার এর প্রশংসা করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে সব পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণাকে দেখতে চায়।