

ভোলার চরফ্যাশনে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম আসাদ বলে জানা গেছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এই অভিযোগ পাওয়া যায়।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা মো. সালাউদ্দিন বলেন, আমার মেয়ের বয়স ১৫। সে মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে আসাদ নামে একটি ছেলে আমার মেয়ের সাথে প্রেমের বাহানা করে আসছে। একপর্যায়ে আমার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকায় নিয়ে একটি হোটেলে সময় কাটায়।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে আসাদের বাবা জাকির হোসেনকে চাপ দিলে সে তার ছেলে ও মেয়েসহ গত ১০ আগস্ট ঢাকা গিয়ে আমার মেয়েকে আমার কাছে বুঝিয়ে দেয়।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা হাসিনা বেগম জানান, মেয়েকে বুঝিয়ে দেওয়ার পর আমরা জানতে পারি তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর থেকেই তারা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দিয়ে আসছে। আমরা নিরুপায় হয়ে বিষয়টি এলাকার আত্মীয় স্বজনদের জানাই। জাকির হোসেন বিকেল ৫টার সময় আমার স্বামীকে মারপিট করেন, আর বলেন বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে বা আমাদের নামে মামলা দেয়ার চেষ্টা করলে এলাকা ছাড়া করব। এছাড়াও এলাকার বিএনপির পাতি নেতাদেরকে দিয়ে হুমকি দিয়েছেন। আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে গিয়ে কোন বিচার পাইনি। এজন্য আদালতের কাছে গিয়ে ন্যায়বিচার চাইব।
স্থানীয়রা জানান, জাকির হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন সবসময় মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে আসছে। আমরা চাই ধর্ষণে অভিযুক্ত আসাদের কঠিন বিচার করা হোক।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আসাদ এবং ভয়ভীতি ও মারধরের ব্যাপারে জানতে জাকির হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।


