হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক আজকের কক্সবাজার বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক প্রবীণ সাংবাদিক আলহাজ্ব মাওলানা মো. ছৈয়দ হোছাইন এর স্মরণে রবিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে টেকনাফ প্রেস ক্লাবের হল রুমে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোনাজাত পরিচালনা করেন টেকনাফ প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সাংবাদিক আশেক উল্লাহ ফারুকী।
এসময় মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি তাহের নাঈম, সহ-সভাপতি গোলাম আজম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল,হক, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম শারেক,টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি ও প্রেসক্লাবের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলাম সাইফী। প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক কায়সার পারভেজ চৌধুরী,তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুস সালাম,ক্রীড়া সম্পাদক আবুল আলী ও সদস্য মাওঃ জিয়াউর রহমান জিয়া। কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে টেকনাফ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আমান উল্লাহ কবির, মৌলভী জুবাইর, সামি জাবেদ,বিএমএসএফের টেকনাফ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরফাত সানি, আক্তার হোসেন হিরু, মিজানুর রহমান মিজান, আব্দুল আজিজ, ইব্রাহীম মাহমুদ, পৌর প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত উল্লাহ,উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ মামুন, টেকনাফ ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদ উল্লাহ, ওবাইদুর রহমান নয়ন, সাংবাদিক ইউনিটির সদস্য হেলাল উদ্দিন, সংবাদকর্মী এমএ হাসান, মেহেদী হাসান ইমন, মোস্তাক আহমদ প্রমুখ।
এদিকে মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ছৈয়দ হোসেনের বাল্য বন্ধু টেকনাফ মাইমুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৌওঃ আব্দুল জলিল ও তাঁর রেখে যাওয়া দুই সন্তান বড় ছেলে জে,এম তরিকুল ইসলাম বকুল, ছোট ছেলে হোসাইনুল মোস্তফা রায়হান। পরে মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা মো. ছৈয়দ হোছাইনের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত বুধবার (০২ আগষ্ট) ভোর ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বর্ষিয়ান সাংবাদিক, সামাজিক ব্যক্তি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মাওলানা ছৈয়দ হোছাইন। তিনি অর্ধশত বছর ধরে টেকনাফ সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। দৈনিক সংবাদপত্র সম্পাদনার পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সমাজসেবা, উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।