নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে সাহাব উদ্দিন নামের এক আড়তদার সরকারি চাল অন্য কোম্পানির বস্তায় ভরে বিক্রি ও পাচার করে আসছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা হলেও অবৈধভাবে সরকারি চাল অন্য বস্তায় ভরে পাচার ও বিক্রির অসাধু ব্যবসা তিনি বন্ধ করেননি। এখনও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে তিনি অবৈধভাবে সরকারি চাল পাচার করে যাচ্ছেন।
তবে আজ বুধবার দিবাগত রাতে ৬ গাড়ি সরকারি চাল পাচারের তথ্য পেয়ে পাহাড়তলী জোনের এসির নেতৃত্বে পুলিশের ৩ গাড়ি ফোর্স নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিনের খাজা ভাণ্ডারে অভিযানে গেলেও অদৃশ্য কারণে অবৈধ চালের গাড়ি আটক করা হয়নি। অন্যদিকে এসি এমন কোনো অভিযান হয়নি এবং তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। কিন্তু অভিযুক্ত আড়তদার অভিযানের কথা স্বীকার করেছেন। এসির কাছে কাগজপত্র দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, প্রতিনিয়ত রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে কম দামে চোরাইভাবে চাল ক্রয় করেন সাহাব উদ্দিন। সেই চাল অন্য কোম্পানির বস্তায় ভরে চড়া দামে বাজারে বিক্রি ও পাচার করে থাকেন। এর মাধ্যমে অবৈধভাবে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সাহাব উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রামে চালের কোনো সংকট না থাকলেও অসাধু আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে চালের বাজার অস্থির করে যাচ্ছেন। এর উপর সরকারি চাল অন্য কোম্পানির বস্তায় ভরে চড়া দামে বিক্রি করা জনসাধারণের সাথে প্রতারণা। আজকেও পাহাড়তলী থানার পুলিশ আড়তে গিয়েছে। ৬ গাড়ী চাল আড়তে ঢুকলেও তারা গাড়ী আটক না করে চলে গিয়েছে। তবে ম্যানেজারকে আটক করে নিয়ে গেছে।
অভিযানের বিষয়ে অভিযুক্ত সাহাব উদ্দিন বলেন, আমি বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে রেশনের চাল কিনি। কিন্তু সরকারি বস্তা দেখলেই সবাই মনে করে এগুলো অবৈধভাবে কেনা। আমি এখন ঢাকা এয়ারপোর্টে আছি, চট্টগ্রাম যাচ্ছি। বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা, তা দেখার জন্য ম্যানেজারকে নেওয়া হয়েছে। পাহাড়তলী জোনের এসি’কে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
তবে পাহাড়তলী জোনের এসি এ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। চালের আড়তে অভিযান, টাকা লেনদেন বা কাউকে আটকের ঘটনা ঘটেনি। এমন কোনো অভিযানের বিষয়ে আমি জানি না।
এ বিষয়ে জানতে পাহাড়তলী থানার ওসির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ করেননি। এরমধ্যে একবার তিনি কল কেটে দিয়েছেন।