মুন্সীগঞ্জে পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল আট জনে। স্বজনরা দাবি করেছেন, নিখোঁজ রয়েছে আরও দুই শিশু।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সুবচনী বাজার সংলগ্ন এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কয়েস আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর টিম। এর আগে ট্রলার ডুবির ঘটনার দিন রাতে প্রশাসন থেকে জানানো হয়, আরও আটটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা। কিন্তু দাফন কাফনের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা দিতে গেলে একই নাম দুই বার আসায় প্রশাসন থেকে বিকেলে ঘোষণা করে মরদেহ উদ্ধারের সংখ্যা সাত।
শনিবার রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪৬ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিকনিকের ট্রলার। এদিকে ট্রলার ডুবে হতাহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। লৌহজং থানায় করা মামলাটির বাদী ট্রলারডুবিতে সন্তানসহ পাঁচ স্বজন হারানো রুবেল শেখ। মামলায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে বাল্কহেডের মালিক, চালক, চালকের সহকারীসহ পাঁচজনকে। সবাই অজ্ঞাতনামা। লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।