করোনাভাইরাস এর নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে অজানা শঙ্কায় পুরো বিশ্ব। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রন এতটাই ভয়াবহ যে, সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা কার্যকর নাও হতে পারে। তবে এরমধ্যেই আশার খবর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বর্তমানে প্রচলিত করোনাভাইরাসের টিকাগুলো অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতদেরকেও গুরুতর অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে বলে জানিয়েছে এই সংস্থা।
অন্যদিকে টিকা উৎপাদনকারী ফাইজার বায়োএনটেক কোম্পানিও বলেছে, তাদের কোভিড-১৯ টিকার তিনটি ডোজ অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলা করতে সক্ষম বলে ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় দেখা গেছে।
এর আগে প্রাথমিক পরীক্ষায় আভাস পাওয়া গিয়েছিল যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম চিহ্নিত এই অমিক্রন নামের নতুন ধরনটি ফাইজারের টিকাকে আংশিকভাবে এড়িয়ে যেতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘টিকা প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা বলছেন, তাদের দুই ডোজ টিকা অমিক্রন ঠেকাতে অপেক্ষাকৃত কম কার্যকর- কিন্তু তৃতীয় বুস্টার ডোজ মানবদেহে কোভিড-প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে সক্ষম। অবশ্য এ ফলাফল প্রাথমিক এবং তারা আরও উপাত্ত সংগ্রহ করা চালিয়ে যাবে।
ফাইজার আরো বলছে, তারা শুধু অমিক্রন রোধের জন্য একটি টিকা তৈরি করছে এবং তা আগামী ১০০ দিনের মধ্যে সরবরাহের জন্য তৈরি হবে।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, যারা আগে সংক্রমিত হয়েছেন এবং পরে টিকা বা বুস্টার নিয়েছেন তারা হয়তো অমিক্রনে গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাবেন।’
মডার্না, জনসন এ্যান্ড জনসন বা অন্যান্য টিকাগুলো অমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর- তা নিয়ে এখনো উল্লেখযোগ্য উপাত্ত পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
করোনাভাইরাসের বর্তমান ডেল্টা ধরনটির চেয়ে অমিক্রন বেশি সংক্রামক হতে পারে এমন আভাস পাওয়া গেলেও এটির গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টির ক্ষমতা কতটা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
অমিক্রন এখন বিশ্বের ৫৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এক সাপ্তাহিক রিপোর্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এটি যত ছড়াবে, হাসপাতালে সেবা নিতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা তত বাড়বে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক মাইকেল রায়ান বলছেন, প্রাথমিক ইঙ্গিত থেকে মনে হচ্ছে অমিক্রন অনেক বেশি দ্রুত ছড়ায়, তবে সম্ভবত এটি আগের ধরনগুলোর তুলনায় কম বিপদজনক।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ড. ফাউসি বলেছেন, প্রাথমিক আভাসে মনে হয় অমিক্রন হয়ত বেশি সংক্রামক হলেও ‘কম মারাত্মক’ হতে পারে।