অহিদুর রহমান: নির্বিচারে পেশাজীবী গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ করে অনতিবিলম্বে ঘোষিত তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ (জেটেব)।
শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর প্রেসক্লাবে ইঞ্জিনিয়ারস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর আয়োজনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার সুপরিকল্পিতভাবে টেক্সটাইল খাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির উৎস গার্মেন্টস শিল্পের বড় বাজার ইউরোপ আমেরিকা। অথচ আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তারা। ফলে গার্মেন্টস শিল্পে নিয়োজিত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক বিশাল চাপে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বক্তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনে বর্তমান সরকার নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তাদের এক নারী কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে। পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার নির্যাতন বন্ধ ও প্রহসনের তফসিল বাতিল করে অচিরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।
জেটেব ঢাকা মহানগর সভাপতি আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে টেক্সটাইল খাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের অর্থনীতির এই প্রধান উৎসকে না বাঁচাতে পারলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারসহ দেশের লক্ষ লক্ষ পোশাক শ্রমিকরা না খেয়ে মারা যাবে। চেপে বসা এই সরকারকে উৎখাত করতে না পারলে টেক্সটাইল খাত একেবারেই ধ্বংস হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করলে টেক্সটাইল খাতকে বাঁচানো যাবে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। এ সরকার বিগত দিনে যতগুলো নির্বাচন করেছে সবগুলোতে ভোট কারচুপি করেছে। দিনের ভোট রাতেই সম্পন্ন করেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট’র মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের রেমিটেন্সের সিংহভাগ আসে গার্মেন্টস শিল্প থেকে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে সরকার বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্র করেছে। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি না মেনে নিয়ে নির্মমভাবে তাদের উপর গুলি চালিয়েছে। একজন নারী কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে, প্রায় ছয় হাজার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেক গার্মেন্টস বন্ধ হয়েছে। এতে মালিক এবং কর্মীরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সরকারের দ্বারা উন্নয়ন এবং রেমিটেন্স বৃদ্ধি সম্ভব না। এরা লুটেপুটে গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করে ফেলেছে।